পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় ও ঐকান্তিক সহযোগিতায় সুফল বাংলা বর্তমানে সারা রাজ্য জুড়ে ভ্রাম্যমান এবং স্ট্যাটিক (ইট ও মর্টার) মিলিয়ে ৪৮৪ টি খুচরো বিক্রয় কেন্দ্র চালু করে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১১৭ টি যানবাহন মোতায়েন করে, বহু বছরের প্রচেষ্ঠায় একটি নির্ভরযোগ্য সোশ্যাল বিজ়নেস মডেলে পরিণত হয়েছে।এটির সমগ্র সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াটি এমনভাবে গঠিত হয়েছে যাতে সঠিক পণ্যটি সঠিক মূল্যে সঠিক সময়ে নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছতে পারে৷ সুফলবাংলার অগ্রসরতার গল্পটি কিন্তু খুবই চিত্তাকর্ষক ৷ ২০১৪ সালে আলুর মূল্যবৃদ্ধির সময়ে, রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করে আলুর এমন একটি মূল্য নির্ধারণ করেন যাতে উত্পাদক কৃষক ও ক্রেতা (উপভোক্তা) উভয়েই সন্তুষ্ট হয় । পরবর্তী কালে যখন পূজোর আগে সবজির দাম বৃদ্ধি পায় তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষি বিপণন পদ্ধতি পক্ষপাতদুষ্ট না হওয়ার দিকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যাতে উত্পাদক / কৃষক ও উপভোক্তা উভয়েরই স্বার্থ রক্ষিত হয়৷ এইভাবেই সফল (এনডিডিবি, নয়া দিল্লি) এর সহযোগিতায়, এবং আরকেভিওয়াই (রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা) এর আর্থিক সহায়তায় তৈরি হয় সুফল বাংলা, যেটি বাস্তবায়িত হয় পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিপণন কর্পোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে। ১৪টি ভ্রাম্যমান কাউন্টার দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার পুরোটাই কিন্তু খুব মসৃণ ছিল না। প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (পিএমইউ) পরিচালিত কেষ্টপুরের প্রথম স্ট্যাটিক খুচরো কাউন্টার খোলা, এরপর সন্তোষপুর মিউনিসিপ্যাল মার্কেটে আরেকটি এবং হাওড়ায় মন্দিরতলায় পরেরটি, এইভাবেই সুফল বাংলা তার প্রথমাবস্থার কঠিন পরিস্থিতিকে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে চলেছে। বহু অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেত থেকে ফসল সরাসরি আপনার রান্নাঘরে পৌঁছে দেওয়ার এই যাত্রাটা একমাত্র শক্ত দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটার সঙ্গেই একমাত্র তুলনীয়৷
|